বিএসইসি পুনর্গঠন: আস্থার প্রমাণ হোক

মে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে  পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। আর ২০ মে নিয়োগ পান দুই কমিশনার। আগে থেকে একজন কমিশনার দায়িত্বে ছিলেন। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) এরপর নতুন আরেকজনকে নিয়োগের ফলে কমিশনের চার কমিশনারের পদ পূর্ণ হয়। আর শিবলী রুবাইয়াতের নেতৃত্বাধীন কমিশন পূর্ণতা পেয়েছে। ৯ বছর পর এসে নতুন করে বিএসইসি পুনর্গঠিত হয়।

এর আগে ২০১০ সালের কেলেঙ্কারির পর বিধ্বস্ত শেয়ারবাজার মেরামতের জন্য পুনর্গঠিত বিএসইসির দায়িত্বে আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিশন। তার হাত ধরে শেয়ারবাজারে বেশ কিছু আইনি সংস্কার হলেও বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রতিষ্ঠায় পুরোপুরি ব্যর্থ হন তিনি। ফলে ২০১০ সালের কেলেঙ্কারিতে বিধ্বস্ত পুঁজিবাহার আর আশানুরূপ ঘুরে দাঁড়াগে পারেনি।

দীর্ঘ নয় বছর দায়িত্ব পালনকালে শতাধিক কোম্পানি তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয় খায়রুল কমিশন। যার বেশির ভাগই ছিল মানহীন। এ কারণে মানহীন কোম্পানির অনুমোদন দিয়ে বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন খায়রুল কমিশন। আর গত ১৪ মে যখন বিদায় নেন তখন বাজারকে রেখে যান ২০১১ সালের চেয়েও খারাপ অবস্থায়। বাজারের পতন ঠেকাতে বেঁধে দেওয়া হয়েছে শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম।

শিবলী রুবাইয়াতের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশনের সামনে তাই বড় চ্যালেঞ্জ চরম আস্থাহীন বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো। করোনায় বিধ্বস্ত অর্থনীতি ও ব্যবসা–বাণিজ্যের বিপুল ক্ষতির মধ্যে পুঁজিবাজারে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে শিবলী কমিশনকে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন কমিশন আস্থার প্রমাণ রাখবে, এমনটাই আশা আমাদের।

Tagged