ওটিসির ৪ কোম্পানি ও ২টি ডিবেঞ্চারের বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি

এসএমজে ডেস্ক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওভার দ্যা কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটের ৪ কোম্পানি ও ২টি ডিবেঞ্চারকে তালিকাচ্যুত করে এর বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ।

তালিকাচ্যুতের সিদ্ধান্ত নেয়া চার কোম্পানি হলো-বাংলাদেশ ক্যামিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ ডায়িং অ্যান্ড ফিনিশিং ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ লাগেজ ইন্ডাস্টিজ এবং বাংলাদেশ জিপার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আর দোয়েল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজেরর ইস্যুকৃত ২ট ডিবেঞ্চার। এর মধ্যে বিডি জিপার ১৪ শতাংশ এবং বিডি লাগেজ ১৪ শতাংশ।

গতকাল ৩০সেপ্টেম্বর (বুধবার) অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৭৪২তম কমিশন সভায় প্রতিষ্ঠানগুলোর লেনদেন সাময়িকভাবে বন্ধ ও কোম্পানিগুলোকে তালিকাচ্যূতি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এবং ডিবেঞ্চার হোল্ডারদের বিনিয়োগকৃত অর্থ ও দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ সকল সিকিউরিটিজের লেনদেন সাময়িকভাবে বন্ধ করে ডি-লিস্টিং প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এক্ষেত্রে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে ১টি এসক্রো অ্যাকাউন্ট (Escrow Account) যৌথভাবে পরিচালনার মাধ্যমে ডিবেঞ্চার ও শেয়ারহোল্ডারদের অর্থ ও দাবি অভিহিত মূল্যে বা ইস্যু মূল্যে বা আলোচনা সাপেক্ষে পরিশোধ করা হবে।

বিডি লাগেজ: ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত ওটিসিতে থাকা কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি টাকা। মোট শেয়ারের সংখ্যা ২০ লাখ। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের কোম্পানিটির ২৩ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এবং ২৬ দশমিক ৩০ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

বিডি জিপার: ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত ওটিসিতে থাকা কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা। মোট শেয়ারের সংখ্যা ৮ লাখ ৮০ হাজার। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের কোম্পানিটির ৩৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এবং ২৮ দশমিক ১৫ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

বাংলাদেশ ক্যামিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ ১৯৯২ তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১১ কোটি ৭৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের কোম্পানিটির ২৯ দশমিক ২৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এবং ২৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

বাংলাদেশ ডায়িং ও ফিশিং ইন্ডাস্ট্রিজ: ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১২ কোটি। মোট শেয়ারের সংখ্যা ১২ লাখ। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের কোম্পানিটির ৪১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এবং ১৯ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। সূত্র: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)

এসএমজে/২৪/মি

Tagged