বিএসইসি কঠোর হলে লেজ গুটাবে অনিয়মকারীরা

সমাজে কতিপয় লোক থাকে, যাদের অভ্যাসই হচ্ছে অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ-বিত্ত গড়ে তোলা। তার দেশ-জাতি কিংবা সমষ্টির কথা চিন্তা করে না। শুধু নিজের পকেট ভারি করা নিয়েই ব্যস্ত থাকে। এ ধরনের লোকের দ্বারা সমাজ ও রাষষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাজ হয়, তাদের বিরুদ্ধে সময়োচিত পদক্ষেপ নেয়া। উন্নত বিশ্বে দেখা যায় খুব দ্রুত এই পদক্ষে গ্রহণ করে এবং অনিয়ম বন্ধ করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশের বাস্তবতায় এর ব্যতিক্রম দেখা যায়। যে কারণে অনিয়মকারীরা উৎসাহিত হয় এবং পার পেয়ে যায়।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের অনিয়মের বিষয়টি বেশ পুরনো এবং আলোচিত। এখানে কর্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে গাফিলতি এবং ধীরগতি সমস্যাকে আরো জটিল করে তোলে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুনর্গঠিত হয়েছে। নেতৃত্ব বদল হয়েছে। এরপর বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বেশ ইতিবাচক। এটি অব্যাহত থাকলে অনিয়মকারীরা লেজ গুটিয়ে নিতে বাধ্য হবে। বিশেষ করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অনিয়ম খুব গুরুতর। এতে সরসরি বিনিয়োগকারী এবং পুঁজিবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি যত কঠোর হবে পরিস্থিতি তত উন্নত হবে।

Tagged