সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গত রোববার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের দাম। পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে সাড়ে ছয়শ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে, যা প্রায় একমাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এতে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা কিছুটা হলেও বাড়বে। তবে এর ধারাবাহিকতা কতটা রক্ষা হবে তার ওপর নির্ভর করছে সবকিছু। তাই আমরা বলবো, প্রত্যাশা বাড়িয়ে পুঁজিবাজার যেনো বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ফের হতাশা তৈরি না করে।
মূল্যসূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি লেনদেন বাড়লেও এদিন তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের ক্রেতা সংকট দেখা যায়। ক্রেতা সংকটে পড়ে লেনদেনের শেষ দিকে প্রায় দুইশ প্রতিষ্ঠানের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে। অন্যদিকে দিনের সর্বনিম্ন দামে এসব প্রতিষ্ঠানের বিপুল বিক্রির আদেশ আসে। ফলে যাদের কাছে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট রয়েছে ক্রেতা সংকটে তারা তা বিক্রি করতে পারেননি।
এদিন বাজারে লেনদেন শুরু হতেই মূল্যসূচকের বড় উত্থানের আভাস পাওয়া যায়। প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে লেনদেন শুরু হওয়ায় প্রথম মিনিটেই ডিএসই’র প্রধান সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই বড় উত্থান প্রবণতা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এমনকি লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বাড়ে। সেই সঙ্গে বড় হয় দাম বাড়ার তালিকা। এটি বাজারের জন্য খুবই ভালো লক্ষণ। তবে পরবর্তী কার্যদিবসগুলো কেমন যায়, তার ওপর নির্ভর করে অনেক কিছু।