প্রণোদনার সুফল পেতে সরবরাহ চালু থাকা প্রয়োজন

করোনাভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকার নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, প্রান্তিক মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য আলাদা করে তিন হাজার কোটি টাকার আরেকটি প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। কিন্তু সেখানে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য যে টাকা বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে, তা খুবই কম। একজন প্রান্তিক মানুষের জন্য সীমিত টাকা রাখা হয়েছে। ওই টাকা দিয়ে তাঁদের কিছুই হবে না। তবে যে বিষয়টির ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত সেটি হলো পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা। পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ থাকলে প্রণোদনা থেকে কোনো সুফল মিলবে না। একজন উদ্যোক্তা ব্যাংক থেকে প্রণোদনার ঋণ নিলেন। ঋণ নিয়ে পণ্য উৎপাদনও করলেন। কিন্তু বিক্রি করতে পারলেন না। তাহলে ওই ঋণ নিয়ে লাভ কী হলো। যদি পণ্যই বিক্রি করতে না পারেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে ঋণ নিয়ে পণ্য উৎপাদনও করতে পারবেন না। কারখানা বন্ধ। তখন আবার হিতে বিপরীত হতে পারে। ঋণের টাকায় উদ্যোক্তা তখন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারেন। এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। অনেকে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কারখানা না করে গাড়ি-বাড়ি কিনেছেন।
এ মুহূর্তে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট রয়েছে। প্রণোদনার সুফল তখনই মিলবে, যখন পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে। এর জন্য সরকারকে কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সেটা এমন হতে পারে, পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বড় বড় মার্কেট সপ্তাহে এক দিনের জন্য খোলা রাখা যেতে পারে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অংশ হিসেবে সেই বাজারে নির্দিষ্টসংখ্যক ক্রেতা যেতে পারবে। এ ছাড়া অনলাইনে কেনাকাটা করা যেতে পারে। তা না হলে উদ্যোক্তার জন্য প্রণোদনার ঋণ কোনো কাজে আসবে না। বিয়টি মাথায় রেখেই সবকিছু করা দরকার।

Tagged