দেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়। করোনা দুর্যোগের বহু আগে থেকেই পুঁজিবাজার চরম অস্থির ছিল। একের পর এক বাজার ধসে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। শূন্য হাতে অনেক বিনিয়োগকারী চোখের জলে পুঁজিবাজার থেকে বিদায় নিয়েছেন। তার আর কখনো বাজারে ফিরে আসবেন কিনা এই প্রশ্নও অমীমাংসিত। পুঁজিবাজারের খুবই করুণদশায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক দিকনির্দেশনায় পুঁজিবাজারে ‘ফ্লোর প্রাইস’ আরোপ করা হয়। এই সিদ্ধান্ত খুবই যৌক্তিক এবং সঠিক। না হলে বাজারের অবস্থা কী হতো অনুমান করা কঠিন।
আমাদের দেশের পুঁজিবাজারের আচরণে বিভিন্নভাবে প্রমাণ হয় এখানে অনিয়মকারীরা রয়েছেন। যারা বাজারকে নিয়মের বাইরে গিয়ে প্রভাবিত করেন। এ ধরনের কাজের মধ্য দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হাতিয়ে নেয়াই কতিপয় চক্রের কাজ। সরকারের দেয়া সব ধরনের সুবিধাই অনিয়মকারীরা হাতিয়ে নেয়। তারা বাজারের পতন ত্বরান্বিত করে, দর কমিয়ে শেয়ার হাতিয়ে নেন। পরে ফের সেই শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছেই বেশি দামে বিক্রি করেন। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কেনায়ও ঠকেন বেচায়ও ঠকেন।
সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা তালিকাভুক্ত অনেকগুলো কোম্পানির অনিয়মকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আইনি বাধ্যবাধকতায় যাদের দুই শতাংশ শেয়ার নেই তাদেরকে আলটিমেটাম দেয়া হয়েছে। এটি খুবই সঠিক সিদ্ধান্ত। এখন তারা যাতে কম দামে শেয়ার কিনে পার পেতে না পারেন সেটিও দেখার বিষয় আছে। কারণ তারা বেশি দামে শেয়ার ইচ্ছামতো বিক্রি করেছেন। তখন নিয়মও মানা হয়নি। সুতরাং এখন যেনো ফাঁক গলে বের হয়ে যেতে না পারেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।