প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার দিন থেকে পুঁজিবাজারে টানা পতনে চলে। টানা চার দিনের পতনে সূচক কমেছিল ১২২ পয়েন্ট। চারদিন পতনের পর বাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের খবর আসে। ফলে বুধবার থেকে সূচক ইউটার্ন নেয়। যা বৃহস্পতিবার সূচক ও লেনদেনে বড় উত্থান দেখা যায়। সেদিন সূচক বেড়েছিল ৫১ পয়েন্টের বেশি। আর লেনদেন হয়েছিল হাজার কোটি টাকার উপরে।
অর্থাৎ বাজেট ঘোষণার পর চার দিনে সূচক কমেছিল ১২২ পয়েন্ট। এরপর কালো টাকা বিনিয়োগের খবরে বুধবার ও বৃহস্পতিবার সূচক বেড়েছিল ৬৪ পয়েন্ট। কিন্তু বন্যার খবরে গত দুইদিনে সূচক কমেছে ৬৮ পয়েন্ট। অর্থাৎ কালো টাকা বিনিয়োগের খবরে দুইদিনে যা উঠেছিল, বন্যার খবরে দুইদিনের তার চেয়ে বেশি পড়েছে।
এর আগে বাজেট ঘোষণার আগে থেকে অল্প অল্প করে সূচক বাড়ছিল। তখন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বাজেটে নানা প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ছিল বাজারে। কিন্তু বাজেট উত্থাপনের দিন মুখে মুখে খবর প্রচার হতে থাকে বাজেটে প্রণোদনার তেমন কিছুই থাকছে না। ফলে বাজেট ঘোষণার দিন থেকেই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই বাজারে পতনে টার্ন নেয়। এরপর পতন চলে টানা চার দিন। সূচক খোঁয়া যায় ১২২ পয়েন্ট। তবে বুধবার থেকে বাজার ফের ইউটার্নে মোড় নেয়। বৃহস্পতিবার দেখা যায় সূচক ও লেনদেনে বড় লাফ।
এমন চিত্র পুঁজিবাজারের অস্থিরতারই প্রকাশ। তাই অস্থিরতা দূর করতে হলে নীতির্ধারকদের বড় ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।