আর আশা ভঙ্গ নয়, শুরু হোক আস্থার যাত্রা

পুঁজিবাজারে নতুন বছরের প্রথম কার্য দিবসের লেনদেন হয়ে গেল গতকাল বুধবার। বছরটিকে পুঁজিবাজারের জন্য ক্রান্তিকাল মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। অনেকের ধারণা, এ  বছর বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প নেই। কারণ ২০১০ সালের পর এবছর বাজার সবচেয়ে বেশি খারাপ গেছে। সূচক ও শেয়ারের দর তলানিতে ঠেকেছে। এরপর  আর কোনো অবস্থাতেই বিনিয়োগকারীদের আশা ভঙ্গ হওয়ার সুযোগ নেই। অনেক কথা হয়েছে, অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর পালা। আস্থা অর্জনের চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই। কেবল এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে।

বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো এই মুহূর্তে বাজারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাদের আস্থা ফেরানো না গেলে বাজারের চলমান সংকট কাটবে না। আর এ সংকট আরও দীর্ঘায়িত হলে বাজারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোও অস্তিত্ব–সংকটে পড়বে। ইতিমধ্যে অনেক ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে গেছে। সুতরাং এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে বিনিয়োগকারীদের আশা ভঙ্গ না হয়। বিশেষ করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কথা ভাবতে হবে। তারা যেনো চারটা ডাল-ভাতের জীবন নিশ্চিত করতে পারেন। কারণ এই বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারের প্রাণ। সেই প্রাণের হেফাজত করা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠারগুলোর দায়িত্ব হওয়াই কাম্য।

Tagged