গত কয়েক কার্যদিবস কিছুটা শঙ্কা ছিল পুঁজিবাজারকে ঘিরে। মাসের প্রথম দিন থেকে সূচকে উত্থানের যে গতি ছিল তা যেন কিছুটা স্তিমিত হয়ে আসছিল গত কয়েকদিনে। অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা হয়তো বিষয়টি টের পাচ্ছিলেন।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শঙ্কা থাকার বিয়ষটি অনেক সময় ঠিক নাও হতে পারে। কিছুটা সময় নিয়ে পুঁজিবাজার ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারে। তবে বিনিয়োগকারীদের শঙ্কার বিষয়টি তখনই সত্য হয়, যখন বাজারে অস্বাভাবিকভাবে পতন নেমে আসে। এ ধরনের নজির আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে রয়েছে।
পুঁজিবাজারে সংশোধনের বিষয়টি অস্বাভাবিক নয়। এটি বাজারের ক্ষতি করতে পারে না। আর যদি এর পেছনে অন্যকোনো কারণ লুকিয়ে থাকে, তা হলে সেটি ভালো লক্ষণ নয়।
গত কয়েকদিন ধরেই মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতা দেখা গেছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। প্রথম দিকে সূচক অনেকটা বেড়ে সারাদিন ধরে ক্রমাগত কমতে থাকে। এমন করে গত কয়েকদিন সূচক টেনেটুনে বাড়ছে। কিন্তু গতকাল আর তেমনটি হয়নি। সূচক অনেক খানি কমেছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হতেই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। আর লেনদেনের ৪৭ মিনিটের মাথায় বাড়ে ২৯ পয়েন্ট।
তবে এরপরেই বাজারে ছন্দপতন ঘটতে থাকে। দরপতন হতে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পতনের মাত্রা। ফলে সবকটি মূল্যসূচকের পতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়। এখন দেখা প্রয়োজন সামনের দিনগুলোতে কী হয়।