পুঁজিবাজারে সূচকের উন্নতি দিয়ে বিদায় নিলো বছর

দেশের পুঁজিবাজারে চলতি বছরের শেষ লেনদেন হয়ে গেলো গতকাল। সূচকের সামান্য উন্নতি দিয়ে শেষ হলো বছরের লেনদেন। তবে গত বছরজুড়ে বিনিয়োগকারীদের হাহাকারই মূলত বাজারকে ভারী করে রেখেছিলো। দেশীয় ও বৈশ্বিক নানামুখী সংকটে পুঁজিবাজার ছিলো নিস্তেজ। এই নিস্তেজ বাজারকে পরিবর্তন করতে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হলেছিলো। কিন্তু কিছুতেই বাজার তার স্বাভাবিক গতিধারায় ফিরে আসেনি। এ কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ নিয়েই বছরটি শেষ হলো।

ঘটনাবহুল বছরটিতে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির পরিমাণ অনেক। এখনও বাজার ধারাবাহিকভাবে মন্দা বিরাজ করছে। করোনভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। বাজারে পতন ঠেকাতে ফ্লোরপ্রাইস চালু করে পতন ঠেকানোর চেষ্টা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এছাড়াও আরও বেশি কিছু উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ বাংলাদেশ ব্যাংক।

সবকিছুর পরও টানা মন্দা চলছে দেশের পুঁজিবাজারে। সামনে নতুন বছর। তাই বিনিয়োগকারীদের চোখ এখনও ঝাপসা। পুঁজিবাজারের উন্নতি না হলে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী পথে বসবে। তাই এখন নতুন বছরের কাছে প্রত্যাশা রেখেই পুরনো বছরের হতাশা ভুলতে হবে।

Tagged