নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল রবিবার বড় দরপতনের ঘটনা ঘটেছে। এ বড় পতনের ফলে ১১টি ব্রোকারেজ হাউজের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এছাড়া নজরদারির পাশাপাশি বড় দর পতনের পেছনে কোনো কারসাজি রয়েছে কি-না তাও খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
গতকাল বিকেলে ডিএসইর সার্ভিলেন্স বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত বিএসইসি। এ বৈঠকে সভাপতিত্বে করেন বিএসইসি কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ৮টি কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপের কারণে এই বড় দর পতনের ঘটনা ঘটেছে। আর ১১টি ব্রোকারেজ হাউজ থেকে ওই ৮টি কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল বলে লক্ষ্য করেছে বিএসইসির সার্ভিলেন্স বিভাগ। ৮টি কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপে সূচক কমেছে ৮০ পয়েন্ট। আর ১টি ব্রোকার হাউজ থেকে অতিরিক্ত বিক্রির চাপ আসে।
কোম্পানিগুলো হলো- বিএটিবিসি, বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মা, লাফার্জ হোলসিম, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, স্কয়ার ফার্মা ইত্যাদি।
এ বিষয়ে বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, অস্বাভাবিক দর পতনের কারণ খতিয়ে দেখছে বিএসইসি। এ পতনের পিছনে কোন কারসাজি রয়েছে কিনা তাও তথ্য-প্রমাণসহ খতিয়ে দেখা হবে।
এ কারণে এখন থেকে লেনদেন সময়ে বাজার পর্যবেক্ষণে আরো বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। পাশাপাশি অস্বাভাবিক লেনদেন হওয়া ব্রোকার হাউসগুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানো হবে।
এসএমজে/২৪/রা