এসএমজে ডেস্ক
দেশের পুঁজিবাজার একটানা বৃদ্ধির পর এখন কিছুটা সংশোধনের ধারায়। সোমবারের পর গতকাল মঙ্গলবারও অধিকাংশ শেয়ারের দর কমেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক টানা ১০ দিনে ৩৬৮ পয়েন্ট বেড়েছিল। সেখান থেকে গত দু’দিনে ৫২ পয়েন্ট কমেছে। এর মধ্যে গতকাল কমেছে ৩০ পয়েন্ট।
শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্টরা এই দর সংশোধনকে স্বাভাবিক ও ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। তারা মনে করেন, শেয়ারদর বাড়বে ও কমবে, এটিই শেয়ারবাজারের চরিত্র। তবে কোনোভাবেই টানা দরবৃদ্ধি বা পতন কাম্য নয়। এমনটি হলে বিনিয়োগে ঝুঁকি তৈরি হয় বা বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ফাটল ধরে।
গতকাল দিনের লেনদেন শেষে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ডিএসইতে তিনটি বাদে বাকি ৩৯০ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৬২টির দর বেড়েছে, কমেছে ২৯৩টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৫টির দর।
তথ্যপ্রযুক্তি ছাড়া বাকি সব খাতের অধিকাংশ শেয়ার দর হারিয়েছে। অপেক্ষাকৃত ছোট খাতের মধ্যে সিরামিক খাতের পাঁচ কোম্পানির সব দর কমেছে। এ খাতের গড় শেয়ারদর কমেছে ৩ শতাংশের বেশি, যা খাতওয়ারি সর্বোচ্চ দরপতন। বড় খাতের মধ্যে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা খাতের গড় শেয়ারদর যথাক্রমে ১ শতাংশ, দেড় ২ শতাংশ এবং সোয়া ১ শতাংশের ওপর কমেছে। মিউচুয়াল ফান্ড খাত দর হারিয়েছে সোয়া ২ শতাংশের বেশি। অন্য খাতগুলোর দর পতন ১ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, গতকাল ১২ কোম্পানির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। সর্বাধিক ৮ শতাংশ পতন হয়েছে বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের। এর পরের অবস্থানে ছিল অলিম্পিক এক্সেসরিজ, খুলনা প্রিন্টিং, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ন্যাশনাল ব্যাংক, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, ফু-ওয়াং সিরামিক, সেন্ট্রাল ফার্মা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, প্যাসিফিক ডেনিম এবং এবি ব্যাংকের শেয়ার। এর বেশির ভাগের দর সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছিল। আইসিবি অগ্রণী মিউচুয়াল ফান্ডের সাড়ে ৮ শতাংশ এবং আইসিবি সোনালী মিউচুয়াল ফান্ডের ৭ শতাংশ দর পতন হয়েছে।
সার্বিক দর পতনের বিপরীতে পাঁচটি শেয়ার সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ ১০ বা প্রায় ১০ শতাংশ দর বেড়ে বেচাকেনা হয়েছে। এগুলো হলো– বেস্ট হোল্ডিংস, লাভেলো, মিথুন নিটিং, সাফাকো স্পিনিং এবং সিকদার ইন্স্যুরেন্স। এর বাইরে আরডি ফুড, মুন্নু ফেব্রিক্স, ই-জেনারেশন, খান ব্রাদার্স পিপি, উত্তরা ব্যাংক, আমান ফিড এবং আনলিমা ইয়ার্নের দর ৫ থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
এদিকে সূচক কমার পাশাপাশি টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা কমেছে। ডিএসইতে গতকাল ১ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৪৭ কোটি টাকা এবং গত বৃহস্পতিবারের সাম্প্রতিক সময়ের সর্বোচ্চ লেনদেনের তুলনায় ২১১ কোটি টাকা কম।