করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। সমগ্র বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করার পরও মানুষ লকডাউন মানছে না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়াই বিভিন্ন অজুহাতে ঘরের বাইরে ঘোরাফেরা করছে অনেকে।
আর চাহিদার তুলনায় পরীক্ষা করার কেন্দ্র খুবই কম। পর্যাপ্ত পরীক্ষার সুযোগ না থাকায় করোনার ঝুঁকি বাড়ছে। পরীক্ষা করতে ও ফলাফল পেতে আক্রান্ত রোগীকে অনেক জায়গায় যেতে হচ্ছে। এতে ব্যাপক হারে মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে।
এ অবস্থায় দ্রুত করোনা শনাক্তের পরীক্ষাকেন্দ্র বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে আসছেন অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তারা বলছেন, আরও বেশি পরীক্ষাকেন্দ্র চালু করতে হবে। একই সঙ্গে বেসরকারি যেসব হাসপাতালে পিসিআর মেশিন আছে, সেসব হাসপাতালেও পরীক্ষা দ্রুত চালু করতে হবে। আর হেলথ কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্যাম্পল সংগ্রহ করে পার্শ্ববর্তী মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
বিশ্বের অনেক দেশের অভিজ্ঞতায় দেখা যাচ্ছে, যত দ্রুত পরীক্ষা তত দ্রুত উন্নতি। আমাদের দেশে লোকসংখ্যার তুলনায় পরীক্ষার গতি খুবই ধীর। এতে সামনে পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে উঠতে পারে। সুতরাং দ্রুত পরীক্ষাকোন্দ্র বাড়ানো প্রয়োজন।