দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি অনুসারে পরীক্ষা, শনাক্ত ও মৃত্যুর তুলনায় আশা জাগাচ্ছে সুস্থতার হার। এমন খবর অবশ্যই আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। তবে অস্বস্তিদায়ক হচ্ছে পরীক্ষার হাম কমাটা। করোনা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ আনতে হলে আক্রান্তদের চিহ্নিত প্রয়োজন। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের চিহ্নিত করা দরকার। এজন্য উচিত বেশি বেশি পরীক্ষা নিশ্চিত করা। দেখা যাচ্ছে, করোনা পরীক্ষায় ফি আরোপ, পরীক্ষা করতে গিয়ে মানুষের চরম হয়রানি ও অনেক বিলম্বে পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া- এসব কারণে মানুষ করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ হারাচ্ছেন। জানা গেছে, মে মাসে ৫২টি ল্যাবে যে সংখ্যক করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল, এখন ৭৯টি ল্যাবেও প্রায় একই সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনার লক্ষণ-উপসর্গ থাকা রোগীরাই শুধু নমুনা পরীক্ষা করছেন। পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে। তবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনে কমপক্ষে ২০ হাজার করোনার নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সেই লক্ষ্যমাত্রায় কখনই পৌঁছাতে পারেনি। তবে পরীক্ষা কমার সবচেয়ে বড় কারণ ফি নির্ধারণ করা? বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ অর্থনৈতিক দৈন্যের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। এমতাবস্থায় করোনা নমুনা পরীক্ষায় সরকারিভাবে ফি আরোপ অমানবিক। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলে আসছে, এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের প্রধান কাজ হচ্ছে পরীক্ষা। এরপরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাস্তবতা কেনো অনুধাবন করছে না- সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা আশা করবো দেশের স্বার্থে সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন।