রেগুলেটরি কাঠামো পর্যালোচনায় কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্প্রতি রেগুলেটরি কাঠামো এবং বিভিন্ন বিধি ও আইন পর্যালোচনা করার জন্য একাধিক কমিটি গঠন করেছে । সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, কমিশন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে রেগুলেটরি কাঠামো এবং বিভিন্ন আইনকে আধুনিকায়ন করতে চায়। পর্যায়ক্রমে সমস্ত নিয়ম-কানুন পর্যালোচনা করবে। যা করতে প্রায় দুই বছর সময় লাগতে পারে। প্রতিটি কমিটিতে একজন আহ্বায়ক এবং দু’জন সদস্য রয়েছেন।

কমিটির সদস্যরা ইন্টারন্যাশনাল অরগনাইজেশন অফ সিকিউরিটিজ কমিশনস (আইওএসসিও), ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস (আইএফআরএস) এবং প্রযোজ্য অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানের ভিত্তিতে সম্পর্কিত নিয়মকানুনগুলো যাচাই করবেন।

বিএসইসির কমিশনার খোন্দকার কামালুজ্জামান, ডা. শায়খ শামসুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. মো. মিজানুর রহমান ও মো. আবদুল হালিম বেশ কয়েকটি কমিটির সদস্য।

এছাড়া অন্য সদস্যরা হলেন নির্বাহী পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম ও মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পরিচালক প্রদীপ কুমার বাসাক, মো. মনসুর রহমান এবং উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মজুমদার।

বিএসইসি মিউচুয়াল ফান্ডের পদ্ধতিগুলো প্রয়োগের পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। একটি বিনিয়োগের প্রকল্পের জন্য, একটি ক্যাপিটাল ইস্যু এবং ট্রাস্টির জন্য, একটি ক্রেডিট রেটিং সংস্থার গভর্নেন্স ইস্যুগুলোর জন্য, আর্থিক প্রতিবেদন এবং কর্পোরেট গভর্নেন্স বিষয়গুলোর জন্য একটি এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং প্রাইভেট ইক্যুইটি সম্পর্কিত রেগুলেটরি কাঠামো জন্য একটি।

কমিটিগুলো সমস্ত আইন-বিধি, নির্দেশিকা, বিজ্ঞপ্তি এবং এই সম্পর্কিত বিষয়গুলো পরীক্ষা করবে এবং আইওএসসিও, আইএফআরএস এবং অন্যান্য প্রযোজ্য আন্তর্জাতিক মানের সাথে তাদের সামঞ্জস্যতা পরীক্ষা করবে।

এরপরে কমিটিগুলো বাংলাদেশের বাজারের পরিবেশ, অনুশীলন, ব্যবসা এবং বিনিয়োগকারীদের সাথে এই নিয়মকানুনের উপযুক্ততা বিশ্লেষণ করবে। তথ্য প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম এবং আর্থিক প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তার সাথে এই নিয়মকানুনগুলো মেলে কিনা তাও তারা যাচাই করবে।

পরে কমিটিগুলো সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে একটি সভা করবে এবং তাদের মতামত গ্রহণ করবে। কমিটিগুলো প্রয়োজনীয় বিধি-বিধান, নির্দেশিকা এবং কোডগুলির প্রয়োজনীয় উন্নতি, পরিবর্তন ও সংশোধন করার পরামর্শ দেবে।

কমিটিগুলো প্রয়োজনে প্যানেলের বাইরে সদস্য এবং প্রযুক্তির সহায়তা অন্তর্ভুক্ত করবে। টেকনিক্যাল কাজের পারিশ্রমিক বিষয় ভিত্তিতে কমিশন সভায় নির্ধারিত হবে।

শেষ পর্যন্ত কমিটিগুলো আট সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা আদেশ পাওয়ার পর ১২ সপ্তাহের বেশি হবে না।

২০১০ সালে শেয়ারবাজার ধসের পরে কমিশন বাজারে বড় ধরনের সংস্কার করেছে। প্রাক্তন কমিশন প্রায় ৮০ টি বিধি, নির্দেশিকা এবং কোডের সংস্কার করেছিল।

শেয়ারবাজার প্রচুর সংস্কারের সাক্ষী হয়েছে তবে তাদের যথাযথ প্রয়োগ হয়নি। ফলস্বরূপ, সংস্কার সত্ত্বেও বিনিয়োগকারীর আস্থা অর্জন করতে পারেনি।

নতুন কমিশন রেগুলেটরি কাঠামো পর্যালোচনা করে নিয়মগুলো কার্যকর করতে চলেছে।
এসএমজে/২৪/রা

Tagged