ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া উচিত

অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার ধাক্কা লেগেছে দেশের পুঁজিবাজারেও। অর্থনীতিতে যে চাপ তৈরি হয়েছে, তাতে শঙ্কিত পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা। এ কারণে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিশ্রেণির অনেক বিনিয়োগকারী বাজার থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। বাজারে দেখা দিয়েছে মন্দাভাব।

গত ১ জুন থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত পুঁজিবাজারে ৩৩ দিন লেনদেন হয়েছে। এই ৩৩ দিনের মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২০ দিনই কমেছে। বেড়েছে ১৩ দিন। এর মধ্যে ঈদুল আজহার ছুটির পর গত সাত কার্যদিবসে একটানা দরপতন চলছে।

তবে মনে হচ্ছে, আমাদের বাজার যতটা না অর্থনৈতিক কারণে আক্রান্ত, তার চেয়ে বেশি মনস্তাত্ত্বিক ও ভয়ের প্রভাব। গত কয়েক দিনে সরকার সংকট মোকাবিলায় যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে মানুষের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক ভর করেছে বলে মনে হচ্ছে। আর তার প্রভাব এসে শেয়ারবাজারেও পড়ছে।

বাজারে এখন প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের বড় অংশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। একটি অংশ টানা পতনে লোকসানে পড়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। আরেকটি অংশ সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে চুপচাপ বসে আছে।

বৈশ্বিক ও দেশের অর্থনীতির যে সংকট তৈরি হয়েছে, শেয়ারবাজার তার বাইরে থাকবে না। এ অবস্থায় বাজারে বিনিয়োগ করে মুনাফা তুলে নেওয়াটা একটু কঠিন হতে পারে। তবে ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া উচিত।

Tagged