এসএমজে ডেস্ক
পুঁজিবাজারে মন্দার কারণে প্রায় প্রতিনিয়ত মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের গতি। হাজার কোটি টাকার ওপরে থাকা লেনদেন এখন ৩০০-৪০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। বাজারের এ পরিস্থিতিতে গত দেড় মাসে এক লাখের বেশি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব বন্ধ হয়ে গেছে।
বন্ধ হওয়া এই বিও হিসাবের মধ্যে যেমন স্থানীয় বিনিয়োগকারী রয়েছে, তেমনি বিদেশি বা প্রবাসী বিনিয়োগকারীরাও রয়েছেন। পাশাপাশি রয়েছে কোম্পানির বিও হিসাবও। তবে নারী বিনিয়োগকারীর তুলনায় বন্ধ হওয়া বিও হিসাবে পুরুষ বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেশি।
বিও অ্যাকাউন্ট হলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্রোকারেজ হাউস অথবা মার্চেন্ট ব্যাংকে একজন বিনিয়োগকারীর খোলা হিসাব। এই বিও হিসাবের মাধ্যমেই বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে লেনদেন করেন। বিও হিসাব ছাড়া শেয়ারবাজারে লেনদেন করা সম্ভব না।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ (সিডিবিএল)- এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মোট বিও হিসাব ছিল ১৮ লাখ ৬০ হাজার ৭৭৪টি। ১৪ আগস্ট সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪৫ হাজার ১৮৪টি। অর্থাৎ দেড় মাসের ব্যবধানে বিও হিসাব কমেছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৯০টি।
সিডিবিএল’র তথ্য মতে, গত দেড় মাসে পুরুষ ও নারী উভয় ধরনের বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব আছে ১৩ লাখ ৬ হাজার ২১টি। জুন শেষে এই সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৯৭টি। অর্থাৎ পুরুষ বিনিয়োগকারীদের হিসাব কমেছে ৮৫ হাজার ৩৭৬টি।
অপরদিকে, বর্তমানে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব দাঁড়িছেছে ৪ লাখ ২২ হাজার ৭৬০টি। জুন শেষে এই সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৫২ হাজার ৫৩২টি। এ হিসাবে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব কমেছে ২৯ হাজার ৭৭২টি।
এদিকে, বর্তমানে কোম্পানি বিও হিসাব রয়েছে ১৬ হাজার ৪০৩টি। জুন শেষে এই সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৮৪৫টিতে। সে হিসেবে কোম্পানি বিও হিসাব কমেছে ৪৪২টি।
সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশি বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব আছে ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ৩১০টি। যা জুন শেষে ছিল ১৭ লাখ ৮২ হাজার ৪৮২টি। অর্থাৎ দেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব কমেছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৭২টি।
অপরদিকে, বর্তমানে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব আছে ৫৫ হাজার ৪৭১টি। গত জুন শেষে এই সংখ্যা ছিল ৬১ হাজার ৪৪৭টি। অর্থাৎ দেড় মাসে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব কমেছে ৫ হাজার ৯৭৬টি।