নিজস্ব প্রতিবেদক:
বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানি রয়েছে ৪২টি। এর মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে ২২টি কোম্পানির অবস্থার অবনতি হয়েছে। এই ২২টি কোম্পানিকে শুনানিতে ডেকেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর আগে তাদের ব্যবসায়ের কৌশল এবং এ সম্পর্কিত যথাযথ কর্মপরিকল্পনাসহ প্রস্তাব জমা দিতে বলেছিল বিএসইসি।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এবং জেড ক্যাটাগরির ৪২ কোম্পানির মধ্যে ২২টিকে চিঠি দিয়ে কমিশন শুনানিতে অংশ নিতে বলে।
২২ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- শ্যামপুর সুগার, ঝিলবাংলা, আল-হাজ্ব টেক্সটাইল, অ্যারামিট সিমেন্ট, বাংলাদেশ সার্ভিস, বীচ হ্যাচারি, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স, ডেল্টা স্পিনার্স, দুলামিয়া কটন, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, জেনারেশন নেক্সট, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, ইমাম বাটন, কেয়া কসমেটিকস, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, সাভার রিফ্যাক্টরিজ, শাইনপুকুর সিরামিকস, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, তাল্লু স্পিনিং, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল এবং উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি লিমিটেড।
বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, এই ২২টি কোম্পানির মধ্যে প্রতিদিন দুটিকে শুনানিতে ডেকেছে কমিশন। কোম্পানিগুলোর কাছে শুনানিতে জানতে চাওয়া হবে কেন তাদের এই অবস্থা হলো। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে তারা আগামীতে কী কী পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।
সম্প্রতি জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোকে ভালো অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে বিএসইসি ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ১২টি কোম্পানিকে এ এবং বি ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত করেছে। বাকি কোম্পানিগুলোর লেনদেন প্রক্রিয়ায় বড় সুবিধা দিয়েছে।
তবে এখন থেকে যদি কোন কোম্পানি টানা দুই বছর ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সেই কোম্পানি জেড ক্যাটাগরিতে চলে যাবে। টানা দুই বছর ধরে এজিএম (বার্ষিক সাধারণ সভা) পরিচালনা করতে ব্যর্থ হওয়া বা ছয় মাস ধরে অপারেশন থেকে দূরে থাকা কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রেও এটি একইভাবে প্রযোজ্য হবে।
এছাড়া কোম্পানি সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করলে কমিশনের অনুমোদন নিয়ে যে কোনও কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে প্রেরণ করতে পারবে স্টক এক্সচেঞ্জগুলো।
এসএমজে২৪/কা