জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে শ্রদ্ধা

আজ ১৭ মার্চ। এ দিন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন হচ্ছে সারা দেশে। পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলেক্ষ নানা ধরনের আয়োজন চলছে। আমরাও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি স্বাধীনতার এই মহান কারিগরকে।

বঙ্গবন্ধু জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বাঙালি ও বাংলাদেশের মানুষের সামগ্রিক মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন। ১৯৭১-এ তার নেতৃত্বে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়। এর আগে দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি জাতিকে মুক্তির চেতনায় দিক্ষিত করেন। ৩০ লাখ শহীদ ও কয়েক লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর ডাকে এই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। তার লড়াই-সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের বিনিময় অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। যুদ্ধের প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায় শাসকরা। তারা ভেবে ছিলেন বঙ্গবন্ধুকে জেলে স্তব্ধ করে রাখতে পারলে বাঙালির মুক্তি ঠেকানো সম্ভব হবে। কিন্তু না। সেটি হয়নি। দেশের মানুষ আরো বেশি শক্তি নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ ঝাপিয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত জয় আসে বাঙালির। স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে এসে দেশের শাসনভার গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু। তিনি তার জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়- বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির কাজ শুরু করেন।

আজ বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল হয়ে উঠছে। নানামুখী অর্জনের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উড়ছে বাংলাদেশের পতাকা। এই অর্জনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অবদান অতুলনীয়। তাই আমরা তাকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।

Tagged