সকলের স্বার্থেই ভাসমান মানুষদের সুরক্ষা প্রয়োজন

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে অনেকে কৌতুক করে বলে থাকেন, এ ভাইরাস সাম্যবাদী। অর্থাৎ ধনী গরিব কাউকেই ছাড়ে না। বস্তিবাসী থেকে প্রাধানমন্ত্রী সমানতালে শিকার হচ্ছেন করোনায়। এ কারণে সবাইকেই সুরক্ষার আওতায় আনা সমান গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে, দেশের মানুষ যখন ঘরে, তখন শহরের ভাসমান মানুষগুলোর ঠিকানা রাস্তায়। কোনোরকম স্বাস্থ্য সুরক্ষা পদ্ধতি ছাড়াই তাদের দিনরাত কাটে। আক্রান্তের ঝুঁকি তাদের বেশি। এদের দরকার খাদ্য এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম।
ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ের চেয়ে তাদের কাছে খাবারের জোগানটাই বড় বিষয়। জীবন ও জীবিকার তাগিদে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে জনসমাগম বেশি হয়, এমন স্থানে ভাসমান মানুষদের যেতে হচ্ছে। অন্যদিকে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে না পারার সীমাবদ্ধতা ভাসমান মানুষজনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আরেকটি কারণ।
দেশের প্রায় সব মানুষ এ ভয়ংকর ভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকতে মুখে মাস্ক এবং হাতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন; সেখানে ভাসমান মানুষদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার তেমন একটা দেখা যায় না। আর হ্যান্ড স্যানিটাইজার তো তাদের কাছে এক ধরনের বিলাসি পণ্য। এই অবস্থায় ভাসমান মানুষের ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। পুরো সমাজের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই ভাসমান মানুষকে সুরক্ষায়তায় আনা প্রয়োজন। না হলে সামাজিক সংক্রমণ রোধ করা সহজ হবে না।

Tagged