চমক নয়, প্রয়োজন স্বাভাবিক পুঁজিবাজার

দেশের পুঁজিাবাজার স্থিতিশীল করতে চমক নয়, প্রয়োজন স্বাভাবিক বাজার। নতুন অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের মুদ্রানীতি ঘোষণার পর দিন গতকাল ১৯ জুন দেশের পুঁজিবাজারে বড় উত্থান হয়েছে। বিমা, আইটি খাতের পাশাপাশি ওষুধ, প্রকৌশল এবং খাদ্য খাতের প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় সপ্তাহের দ্বিতীয় এ কর্মদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৩৩ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূচক বেড়েছে ৮০ পয়েন্ট। ফলে সূচকের পাশাপাশি লেনদেন ও দাম কমার তুলনায় বেড়েছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এর ফলে গত বৃহস্পতি, রবি এবং সোমবার টানা তিন কর্মদিবস পুঁজিবাজারে উত্থান হলো। তবে তার আগের টানা চার কর্মদিবস পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর রোববার চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের জুলাই থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ সালের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ উত্তরণে পুঁজিবাজারে পর্যাপ্ত তারল্য নিশ্চিত করার জন্য চেষ্টা করছে। মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ডিলারদের দেওয়া ব্যাংকের শ্রেণিবদ্ধ ঋণের ক্ষেত্রে সংরক্ষিত প্রভিশন ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করেছে। এছাড়াও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ না নিয়ে বন্ড ইস্যু করে অর্থের সংস্থান করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।

মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারের প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সমর্থন পুঁজিবাজারের সম্প্রসারণ তথা সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। তাই ঘোষিত মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারকে গুরুত্বারোপ করায় বাংলাদেশ ব্যাংককে আন্তরিক অভিনন্দনও জানাই। আশা করি এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

Tagged