করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গণমাধ্যমের সংকটের বিষয়টি বিবেচনা করে সরকারের কাছে বিশেষ প্রণোদনা চেয়েছেন সম্পাদকরা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিয়টিকে উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।কারণ, কভিড-১৯ ভাইরাসটি সারা পৃথিবীতে যে মহামারী ডেকে এনেছে, সেই ধাক্কা বাংলাদেশেও লেগেছে। দেশে দীর্ঘ সময় দরে সাধারণ ছৃটি এবং লকডাউন চলছে। শিল্প কারখানাগুলো কার্যত বন্ধ। উৎপাদন বন্ধ। এতে সামগ্রিক অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গণমাধ্যমও এর বাইরে নয়। পত্রিকার কাটতি কমেছে। বিজ্ঞাপনও সীমিত হয়ে এসেছে। একই অবস্থা টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর। তাই অন্তত আগামী পাঁচ মাসের জন্য গণমাধ্যমের সহায়তার জন্য সরকারের বিশেষ আর্থিক প্রণোদনা প্রয়োজন বলে যে দাবি সম্পাদকরা করেছেন, এটিকে অযৌক্তিক বলা যাবে না।
এছাড়াও সাংবাদিকদের একাধিক সংগঠন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকদের জন্য তহবিল বরাদ্ধের দাবি জানিয়েছে।
ইতিমধ্যে সরকার বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে গণমাধ্যম নেই। যদি জরুরি গুরুত্বের বিচার করা হয়, তাহলে গণমাধ্যমের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। বর্তমান অবস্থায় চরম ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে কর্মীরা গণমাধ্যম চালু রেখেছন। সঠিক তথ্য প্রবাহ ঠিক রাখতে এবং মানুষকে সচেতন করতে গণমাধ্যমের এই ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং বিষয়টি অনুধাবন করে সরকার আন্তরিক পদক্ষেপ নেবে বলে আমরা আশা করি।
ব্রেকিং নিউজ :