‘ঋণ করে ঘি খাওয়া’র নীতি পুঁজিবাজারে না থাকাই ভালো

কথায় আছে- ‘ঋণ করে খাওয়াও ভালো নয়।’ তারপরও বিষয়টি সর্ব ক্ষেত্রেই সবাই মেনে চলেন এমন না। তবে পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে এটি মেনে চলাই ভালো। শেয়ার দর বাড়তে থাকলো আর ঋণ করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ শুরু হলো, এমনটি কাম্য নয়। এতে বড় ধরনের বিপদ হতে পারে। বিশেষ করে একজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর জন্য এটি পরিহার করে চলাটাই বাঞ্ছনীয়।

কেউ হয়তো সঞ্চয় বা সামান্য জমানো টাকা থেকে দু-চার লাখ টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারেন। বুঝেশুনে করতে পারলে এই টাকা থেকেও মুনাফা করা সম্ভব। আর যদি এটি ঋণের টাকা হয়, তা হলে উল্টো সমস্যায়ও পড়তে হতে পারে। কারণ অন্য ব্যবসার মতো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেই লাভ পাওয়া যাবে এমন নয়। কেনার পর শেয়ার দর কমেও যেতে পারে। তখন উভয়মুখী চাপে পড়তে হবে। এক দিকে নিজের পুঁজিতে টান পড়া, অন্যদিকে ঋণের চাপ। এ ধরনের পরিস্থিতি একজন বিনিয়োগকারীকে ফেলতে পারে কঠিন সংকটে। আর যদি টাকাটা নিজের হয়,পাশাপাশি উপযুক্ত শেয়ারে বিনিয়োগ করা হয়। টাকা কিন্তু হারিয়ে যাবে না। হাতে শেয়ার থাকা মানে মুনাফার সুযোগও থাকা। পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করাই এ সময় বুদ্ধিমানের কাজ। এমন সময়ও আসতে পারে এই সামান্য বিনিয়োগ থেকেই ভালো মুনাফা সম্ভব। কিন্তু ঋণের টাকায় শেয়ার কিনলে এই কাজটিই কঠিন হয়ে যায়।

Tagged