উন্নয়নের চাকা ঘুরছে। বিভিন্ন সামাজিক সূচকে অগ্রগতি চলমান রয়েছে। মধ্য আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্যে সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে। এই উন্নয়নযাত্রায় সহায়ক হতে পারে দেশের পুঁজিবাজার।
উন্নতবিশ্বের মতো আমরা যদি পুঁজিবাজারকে সঠিক উপায়ে কাজে লাগাতে পারি তাহলে সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গঠন দ্রুত ত্বরান্বিত হবে। আধুনিক অর্থনীতিতে বিশ্বব্যাপি পুঁজিবাজার নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারও এক সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। এটিকে সঠিকভাবে পরিচালিত করে দেশের শিল্পায়নকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। এতে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, স্বনির্ভর অর্থনীতি গড় উঠবে এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন গতিশীল হবে।
মনে রাখা প্রয়োজন, আমাদের জনসংখ্যার তুলনায় সম্পদ সীমিত। তাই জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করা প্রয়োজন। কারণ এই বিপুল জন-মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্যই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। সুতরাং জনসাধারণের অর্থনৈতিক মুক্তির বিষয়টি আমাদের প্রধান্য দেয়া প্রয়োজন। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে সরকারের ভালো কর্মসূচির পাশাপাশি নাগরিকদের অংশগ্রহণমূলক উন্নয়নও গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে, দেশপ্রেম ও সততা নিয়ে কাজ করার মধ্য দিয়েই আমরা একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি। আর এ লক্ষ্যে দেশের পুঁজিবাজার হতে পারে আমাদের সহায়ক ক্ষেত্র।