ঈদের ছুটির পর প্রথম কার্যদিবসে দেশের পুজিবাজার ফিরল ইতিবাচক ধারায়। ভালো মৌলভিত্তির শেয়ারে ঋণ সুবিধা বাড়ানোর ফলে বাড়ল সূচক। দেশের প্রধান পুজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গতকাল ২৪ পয়েন্ট বেড়েছে। সেই সঙ্গে বাজারে বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণও। এ কারণে এদিন ডিএসইতে ক্রয়াদেশ বা বিক্রয়াদেশের পরিমাণও বেড়েছে।
এদিন ঢাকার বাজারে নিষ্পন্ন হওয়া ক্রয়াদেশ বা বিক্রয়াদেশ বা হাওলা সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৮০৩টি। ঈদের ছুটির আগের দিন অর্থাৎ গত মঙ্গলবার এ বাজারে ক্রয়াদেশ বা বিক্রয়াদেশের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ৫১৬টি। সেই হিসাবে ঈদের ছুটির পর ১১ হাজারের বেশি ক্রয়াদেশ বেড়েছে।
একজন বিনিয়োগকারীরা যে ক্রয়াদেশ বা বিক্রয়াদেশের বিপরীতে শেয়ার কেনাবেচা সম্পন্ন করেন, সেটিকে হাওলা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাধারণভাবে বলা হয়ে থাকে শেয়ারবাজারে ক্রয়াদেশ বা বিক্রয়াদেশের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া মানে লেনদেনে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাওয়া। বিনিয়োগকারীরা যে পরিমাণ ক্রয়াদেশের বিপরীতে শেয়ার কেনা সম্পন্ন করেন, তার বিপরীতে সমপরিমাণ বিক্রয়াদেশও কার্যকর হয়। এ কারণে বাজারে লেনদেন সংগঠিত হয়। তাই হাওলা হিসাবের ক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ক্রয়াদেশ বা বিক্রয়াদেশের মধ্যে যেকোনো একটিকে গণনায় নেন।
ঢাকার বাজারে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনাবেচার হাওলা সংখ্যা বাড়লেও হাতবদল হওয়া শেয়ারের সংখ্যা ছিল আগের দিনের চেয়ে কম। ঢাকার বাজারে প্রায় ৭ কোটি ৫২ লাখ শেয়ার ও ইউনিটের হাতবদল হয়েছে। মঙ্গলবার ছুটির আগে শেষ কর্মদিবসে হাতবদল হওয়া শেয়ার ও ইউনিটের সংখ্যা ছিল প্রায় ৭ লাখ ৮৪ হাজার। সেই হিসাবে আগের দিনের চেয়ে গতকাল হাতবদল হওয়া শেয়ার ও ইউনিটের পরিমাণ কমেছে প্রায় ৩২ হাজার।
সার্বিকভাবে বলা যায় বাজার কিছুটা আশা জাগিয়েছে। এখন আগামী কার্যদিবসগুলোর দিকে চোখ থাকবে বিনিয়োগকারীদের।