পুঁজিবাজার পরিস্থিতি নিয়ে বছরের শুরুতেই গত বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বছরের অধিকাংশ সময় দরপতনে থাকা বাজার নিয়ে এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপর্ণ। ঢাকার শেরেবাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ কার্যালয়ে ০২ জানুয়ারি বিকেলে এ বৈঠক হয়। বিষয়টিকে আমরা ইতিবাচক হিসেবেই দেখতে চাই। পাশাপাশি বলা প্রয়োজন, এ ধরনের বৈঠক আগেও হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি। এ জন্য প্রশ্ল ওঠা স্বাভাবিক এই বৈঠক কি চর্বিত চর্বণ কিনা?
সংবাদ মাধ্যমের বরাতে জানা যায়, অর্থন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ১১টি প্রস্তাব দিয়েছে ডিএসই। লিখিত প্রস্তাবে অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধিসহ পুঁজিবাজার উন্নয়নে অর্থমন্ত্রীর সুদৃষ্টি, পরামর্শ ও সহযোগিতা চায় প্রতিষ্ঠানটি। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সরকারি কিছু ভালো কোম্পানিকে বাজারমুখী করা এবং বাজার ও লেনদেনের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু কর কমানোর আশ্বাস দেন।
কথা বা বৈঠক হলেই সব কিছু কার্যকর হয়ে যাবে, অন্তত বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এটি বলা যায় না। এই কারণেই প্রস্তাবগুলো কতটা বাস্তবায়ন হবে, সেটি নিয়ে সংশসয় থেকেই যায়। বাস্তবতা হচ্ছে, এসব বিষয়ে কেবল আশ্বাসই নয়, প্রতিফলন দেখতে চায় মানুষ। এ কারণেই প্রকৃত অর্থে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন করতে হলে, কার্যকর উদ্যোগের বিকল্প নেই। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই নীতিনির্ধারকদের আশ্বাস দেয়া প্রয়োজন। তাহলেই এতে মানুষের আস্থা বাড়বে।