দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের ধরে রাখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে নতুন বিনিয়োগকারীদের যুক্ত করার ক্ষেত্রেও তেমন কোনো পদক্ষে নেই। নীতিনির্ধারকরা যদি না চান শেয়ারবাজার ভালো হোক, তাহলে কেউ এ বাজার ভালো করতে পারবে না। বাজার বড় করতে হলে ব্যাংক থেকে কোনো কোম্পানি কত ঋণ নিতে পারবে এবং দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ব্যাংক দিতে পারবে কিনা– সে বিষয়ে নীতি না হলে কোনো কোম্পানি শেয়ারবাজারমুখী হবে না। দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণি বিবেচনায় নিয়ে এদেশে অন্তত সাড়ে তিন কোটি মানুষ আছে, যারা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারেন। অথচ তাদের বিনিয়োগমুখী করার পরিকল্পনা নেই। জুলাই অভ্যুত্থানের সংস্কারের সুযোগ শেয়ারবাজার এখনও পায়নি। এক সময় এ বাজারে ৩৩ লাখ সক্রিয় বিনিয়োগকারী ছিলেন, এখন তা নেমেছে ১২ লাখে। এটি আশঙ্কাজনক। লোকসানের কারণে বিনিয়োগ সেবা উন্নত করা তো দূরের কথা, শেয়ারবাজার নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করতে পারছে না। বছরের পর বছর লোকসান করার পরও সরকারকে কর দিতে হচ্ছে। এটা কী করে সম্ভব? বিষয়গুলো নিয়ে ভালোভাবে ভাবা দরকার। না হলে এই অবস্থার উন্নতি কখনোই হবে না।
