একই কথা কতবার বলা যাবে। তারপরও বলতে হয়, পুঁজিবাজার এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলো ঘুরেফিরে আসে। এর মধ্যে অনিয়মকারীদের জরিমানার বিষয়টি যেমন। এক্ষেত্রে মনে হচ্ছে এখানে বার বার ভোঁতা অস্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে। জরিমানে আগে প্রায়েই লাখে হতো, এখন কোটিতে হয়। কিন্তু লাখ আর কোটি কোনোটাই শেয়ারবাজারে কারসাজি আটকাতে পারছে না। এটি অতি বাস্তব কথা।
সম্প্রতি শেয়ার কারসাজিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে আট ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানকে ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
গত জানুয়ারি মাসে আলোচিত আট ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠান সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের করে শেয়ার কারসাজিতে জড়িত ছিল। এ অভিযোগে তাদেরকে ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ ৩০ দিনের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।
যাদের জরিমানা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম ও তার প্রতিষ্ঠান এবং শেয়ারবাজারের আলোচিত বিনিয়োগকারী সরকারি কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের হিরু ও তার সহযোগীরা।
কথা হচ্ছে আজকে যদি তাদের শাস্তি হতো কারাগারে নেওয়া, তা হলে পুনরায় এই অনিয়ম অন্য কেউ করতে সাহস করত না। শুধু আর্থিক জরিমানা দেওয়ার সামর্থ এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের রয়েছে। তাই তারা এই বিষয়ে খুব একটা গুরুত্ব দেবেন বলে মনে হয় না।