বিনিয়োগকারীদের রাস্তায় নামার বাস্তবতা কেন তৈরি হয়?

আবারও রাস্তায় নামলেন বিনিয়োগকারীরা। যে সময় তাদের ব্রোকারেজ হাউজে বসে লেনদেন করার কথা, সে সময় তারা রাস্তায় স্লোগান দিচ্ছেন। এই দৃশ্য বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে নতুন নয়। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের পর পরিস্থিতির বদল হয়েছে। রাজনীতিতে নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সকল ক্ষেত্রেই নড়াচড়া হচ্ছে। কিন্তু পুঁজিবাজারে নয় কেনো? এখানে কী হয়েছে? সেটি জানার অধিকার জনগণের রয়েছে। সুতরাং নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত শেয়ারবাজারের চিত্র পরিস্কার করা। কেনো দিনের পর দিন বাজারে দরপতন থাকবে, বিষয়টির ব্যাখা থাকা দরকার আছে।

শেয়ারবাজারে টানা মন্দাভাবের প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন বা বিসিএমআইএ নামের বিনিয়োগকারীদের একটি সংগঠন। গতকাল বেলা আড়াইটায় আয়োজিত এই সমাবেশ কয়েক শ বিনিয়োগকারী অংশ নেন। এ সময় তাঁরা বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন।

সমাবেশ থেকে বিনিয়োগকারীরা যেসব দাবি জানিয়েছেন তার মধ্যে আরও রয়েছে শেয়ারবাজারে মূলধনি মুনাফার ওপর থেকে কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি তদন্ত ও তালিকাভুক্ত কোম্পানির শ্রেণি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ বন্ধ করা, তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে দুর্বল মানের ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত করার বিধান সংস্কার, ব্যাংক, বিমাসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, পুঁজিবাজারের সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করা ও উদ্যোগগুলো সম্পর্কে গণমাধ্যমের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের অবহিত করা, জোরপূর্বক বিক্রি বা ফোর্সড সেল বন্ধ করা, তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি পরপর দুই বছর লভ্যাংশ না দিলে ওই কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন করা ইত্যাদি।

কেউ দাবি করলেই মানতে হবে এমন নয়। তবে যদি যৌক্তিক হয় তা হলে এড়িয়ে যাওয়াটাও সমাধান নয়। এছাড়া বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবেন এটি কারোই কাম্য হতে হতে পারে না। কেন এই বাস্তবতা তৈরি হয়েছে সেটি খুঁজে বের করা প্রয়োজন।

Tagged