শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ তহবিলের মেয়াদ ও আকার বাড়ানোর দাবি ডিবিএর

এসএমজে ডেস্ক

দেশের পুঁজিবাজারে ব্যাংকের নিজস্ব পত্রকোষ বিনিয়োগের জন্য গঠিত বিশেষ তহবিলের আকার ও সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ)। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের কাছে এই দাবি জানানো হয়।

বাজারে তারল্য সরবরাহ বাড়াতে ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের জন্য ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এই তহবিলকে শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা বা এক্সপোজার লিমিটের বাইরে রাখা হয়। ব্যাংকগুলো নিজস্ব পত্রকোষ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এ সুবিধা পেয়ে আসছে। কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানোর পর বিশেষ এই তহবিলের সময়সীমা শেষ হচ্ছে ৯ ফেব্রুয়ারি। এই অবস্থায় বিশেষ এই তহবিলের মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি তহবিলের আকার বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে ডিবিএ।

গভর্নরকে দেওয়া চিঠিতে ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলাম বিশেষ এই তহবিল সুবিধার মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত ও তহবিলের আকার ২০০ কোটি থেকে ৩০০ কোটি টাকায় উন্নীত করার দাবি জানান। ডিবিএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ডিবিএ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার এই দাবি জানিয়ে গভর্নরের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানকেও এই চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে ডিবিএর সভাপতি বলেন, বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজার একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের শেষভাগ থেকে বাজারে দীর্ঘ মন্দা বিরাজ করছে। যার ফলে বাজার মূলধন হারিয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। দীর্ঘ এই মন্দা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে বাজার মধ্যস্থতাকারী, স্টক-ব্রোকার, সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ ২০ লাখের বেশি বিনিয়োগকারীকে প্রভাবিত করেছে।

এ অবস্থায় বেশির ভাগ বিনিয়োগকারীর পত্রকোষ বা পোর্টফোলিও বিনিয়োগ ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতির মুখে রয়েছে। তাই এই মুহূর্তে বিশেষ এই তহবিল বন্ধ হয়ে গেলে প্রাতিষ্ঠানিক অনেক পোর্টফোলিও বিনিয়োগে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ক্ষতি হবে; যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাজারে। তাই বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় তহবিলের মেয়াদ ও আকার বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে ডিবিএ।

Tagged