শুধু বিনিয়োগকারী নয়, দেশের অর্থনীতির সার্থেই পুঁজিবাজারকে কারসাজি মুক্ত করতে হবে। পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সব স্টেকহোল্ডারদের সুচিন্তিত মতামত নিয়ে পারস্পরিক অনাস্থা দূর করে বিনিয়োগকারীদের আস্থায় নেওয়ার কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন। একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের জন্য পুঁজির নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় দেশে ‘পুঁজি বিনিয়োগ আইন’ প্রণয়ন সেটি কার্যকর দরকার। এতে বিনিয়োগকারীরা প্রকৃত লভ্যাংশ না পেলে কিংবা কোম্পানিগুলো প্রতারণার আশ্রয় নিলে যেন আইনি সুযোগ নেওয়া যায় তার নিশ্চয়তা থাকতে হবে। বিএসইসিকে শেয়ারবাজারের স্বচ্ছতা বাড়াতে আইনের সময়োপযোগী সংশোধন করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
শেয়ারবাজারের বর্তমান সংকটকালে ব্যাংকগুলোকে সংকট উত্তরণে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ রাইট শেয়ার ছেড়ে সুবিধামতো সময়ে ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজার থেকে হাজার-হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। তাই শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ নিশ্চিত করার কার্যকর ভূমিকা ও উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
সবকিছু শুধু আইন দিয়েই হয় না, মানবিক বিষয়টি অনেক সময় আইনের ঊর্ধ্বে উঠে যায়। কারণ আইন যেহেতু মানুষের জন্যই। বর্তমান ধারাবাহিক দরপতনে বিনিযোগকারীরা নিঃস্ব। সুতরাং মানবিক কারণে ফোর্সসেল আপাতত বন্ধ রাখা যেতে পারে।
এছাড়া বর্তমান প্রেক্ষাপটে শেয়ারবাজারকে অব্যাহতভাবে গতিশীল রাখার স্বার্থে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বড় বিনিয়োগকারীদের বাজারে সক্রিয় করতে উদ্যোগ নিতে পারলে পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে বলে মনে হয়।