মড়াকে আর কত মারবে পুঁজিবাজার

শেয়ারবাজারের দরপতন যেন থামছেই না। দরপতনের কারণ অনুসন্ধানে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগও বাজারের পতন থামাতে পারেনি। সোমবারও দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৭ পয়েন্ট বা প্রায় দেড় শতাংশ কমেছে। তাই প্রশ্ন হচ্ছে মড়াকে আর কত মারবে পুঁজিবাজার। এখন সাধারণ বিনিয়োগাকারীদের অবস্থা মড়ার মতোই।  তাই দরপতনের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো সোমবারও রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে একদল বিনিয়োগকারী। এর আগে গত রোববারও বাজারে বড় ধরনের দরপতন হওয়ায় কয়েক শতাধিক বিনিয়োগকারী মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ করেছিলেন। সোমবারও লেনদেন শুরুর পরপরই দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন।

বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়। বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা দরপতন ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন। বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেন, টানা দরপতনে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। অথচ পুঁজির নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বিএসইসি। তাঁরা বলেন, বিনিয়োগকারীরা রাজপথে থাকতে চান না। কিন্তু সরকার ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ‘পতন ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায়’ বাধ্য হয়ে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে এসেছেন।

এদিকে শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক দরপতনের কারণ অনুসন্ধানে বিএসইসি গঠিত তদন্ত কমিটি সোমবার থেকে কাজ শুরু করেছে। প্রথম দিনে কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে তদন্তের কর্মপন্থা ঠিক করেছেন।  এমতাবস্থায় পুঁজিবাজারের টানা ধরপতন কিছুতে কাম্য নয়। তবে দীর্ঘ দিনের অনিয়ম থেকে বের হয়ে আসতে কিছুটা সময় লাগবে, এটিও বাস্তবতা।

Tagged