গত দুই মাসের পতনে দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা

দেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনে হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছিল দেশের মানুষ। অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্বে পড়ার শঙ্কা থেকে বেঁচে ফিরে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরাও পান নতুন প্রাণ। তবে তার স্থায়িত্ব ছিল মাত্র চার দিন। গত দুই মাসে ৯২ শতাংশ শেয়ারের দরপতনে দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা।

বিগত সরকারের সময় হওয়া লুটপাটে অর্থনীতির ক্ষতগুলো প্রকাশের পর বিনিয়োগকারীরা অর্থনীতির ভবিষ্যৎ বুঝতে সময় নিচ্ছেন। আবার পরিবর্তিত পরিস্থিতি এবং কারসাজি চক্রের অনুপস্থিতিতে তাদের দেখে যারা বিনিয়োগ করতেন, তাদের বিনিয়োগ কমেছে। এর বাইরে মূল্যস্ফীতি কমাতে সুদহার বৃদ্ধির প্রভাবও আছে।

সরকার বদলের পর গত ৬ থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত চার দিনে তালিকাভুক্ত ৩৯৭ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৫০টিরই দর বাড়ে। ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৪৬ শতাংশ দর বাড়ে ৭৮টির। তাতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৮৬ পয়েন্ট বা ১৫ শতাংশ বেড়ে ৫৯২৪ পয়েন্ট এবং এক দিনের শেয়ার কেনাবেচা ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছিল।

গত ১২ আগস্ট থেকে ছন্দ পতন শুরু হয়। গত দুই মাসে ৩৬৭ শেয়ারের দর পতন হয়েছে। অন্তত ১০ শতাংশ দর হারিয়েছে ৩২০ শেয়ার, পতনের হার ৩০ শতাংশ ছাড়িয়েছে ৭১টির।

এছাড়া সিংহভাগ বিনিয়োগকারী নিজের বুদ্ধিতে বিনিয়োগ করেন না, তারা জুয়াড়িদের দেখাদেখি শেয়ার কেনেন। জুয়াড়ি চক্র এখন সক্রিয় নয়। ফলে তাদের অনুসারীরা কী করবেন তা নিয়ে বিভ্রান্ত। এটা সাময়িক। যখন বিনিয়োগকারীরা নিজের বুদ্ধিতে বিনিয়োগ করবেন, তখন অর্থনীতির পরিবর্তনগুলোর প্রভাব বাজারে দেখা যাবে।

Tagged