কারসাজি চক্র রক্ষায় স্বার্থান্বেষীদের ইন্ধন কাম্য নয়

বিগত সময়ে শেয়ার কারসাজি ও অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং সত্যিকারের পুঁজিবাজার গড়তে আইনি সংস্কার কার্যক্রম শুরুর পর বিনিয়োগকারী নাম দিয়ে কিছু ব্যক্তি নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। সংস্থার অফিস গেটে তালা দিয়ে কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করেছে। এর নেপথ্যে শেয়ারবাজারে কারসাজির দায়ে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরাসহ তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্টদের ইন্ধন রয়েছে বলে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য মিলছে। বিএসইসি এমন দাবি করেছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে, অবশ্যই সেটি দুঃখজনক। এর পক্ষে কথার বলার যুক্তি নেই।

সাধারণ বিনিয়োগকারী এবং পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের ব্যানারে ‘সাম্প্রতিক সময়ে বিএসইসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি’ বিষয়ে অবহিত করে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে (এফআইডি) বিএসইসি যে চিঠি দিয়েছে, তাতে এমন কারণ জানানো হয়েছে। কমিশন বলেছে,  যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সংস্কার কার্যক্রমের বিরোধী, যারা চায় না কারসাজির হোতাদের শাস্তি হোক এবং যারা ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে– তারাই পুঁজিবাজারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

চিঠিতে কমিশন জানিয়েছে, দৃশ্যত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের কার্যক্রম দুরভিসন্ধিমূলক। ‘এজিএম পার্টি’সহ পুঁজিবাজারে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তি যারা চলমান সংস্কার কার্যক্রম ও কারসাজির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিরোধী, তারা এ ধরনের বিক্ষোভে মদদ জোগাচ্ছে বলে বিএসইসির নিজস্ব অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে।

দীর্ঘ সময় ধরে অনিয়ম হওয়া পুঁজিবাজার সংস্কারের বিষয়টি রাতারাতি হবে না। এর জন্য অবশ্যই সময় দরকার। তবে এটি যেন কালক্ষেপণ না হয়। যত দ্রুত সম্ভব বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজারের স্বার্থে সংস্কার ত্বরান্বিত করতে হবে বলে আমরা মনে করি।

Tagged