দেশের পুঁজিবাজার কোনোভাবেই অবহেলা করার বিষয় নয়। জাতি হিসেবে মেরুদণ্ড শক্ত করে দাঁড়াতে হলে সবার আগে প্রয়োজন অর্থনৈতিক সক্ষমতা। আর এ ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে আসে পুঁজিবাজারের বিষয়টি। কারণ এর সঙ্গে যুক্ত দেশের শিল্পায়ন এবং শিল্পের টিকে থাকা। তাই আমরা যতই চেষ্টা করি, পুঁজিবাজারকে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
আরও যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, সেটি হচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি। বর্তমান দুনিয়ায় বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারার সুফল অনেক। আর এসব ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বিশ্বমানের হওয়া চাই। এখানেও চাইলে আমরা উন্নত বিশ্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারি। কীভাবে বিভিন্ন উন্নত দেশে পুঁজিবাজার মাথা উঁচু করে অর্থনীতির মূল ধারায় ভূমিকা রাখছে, তার নজিরগুলো খেয়াল করা দরকার।
যদি সত্যিকারের একটি টেকসই পুঁজিবাজার গড়ে তোলা যায়, তা হলে দেশের অর্থনীতিই লাভবান হবে। তবে এসব ক্ষেত্রে সব উদ্যোগ ব্যর্থ করে দিতে পারে দুষ্টচক্র। এটি নানা সময় দেখা যায়। যখনই বাজারে কোনো ধরনের সুফল আসতে শুরু করে, তখনই কতিপয় চক্র আগ বাড়িয়ে তা ব্যর্থ করে দিতে উঠে পরে লাগে। তাই এই চক্রের বিনাশ ছাড়া পুঁজিবাজারের উন্নতি সম্ভব নয়।