দেশের পুঁজিবাজারে দুই বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা ইমাম বটনের ২৩ টাকার শেয়ারের দাম সোয়া ৭০০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার পর ঘুম ভাঙল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)। এরই মধ্যে এই কোম্পানির মালিকানাও হাতবদল হয়ে গেছে। এখন এসে কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে বিএসইসি তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে।
বিএসইসি এক নির্দেশের মাধ্যমে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই)। তবে সেই নির্দেশ আবার আধাখেচড়া ধরনের। কারণ নির্দেশে বলা হয়েছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর ইমাম বাটনের শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ১০৪ টাকা ৪০ পয়সা, যা ২৬ অক্টোবর বেড়ে হয় ১৯৪ টাকা। এই মূল্যবৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইকে তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ারদর নিয়ে যেখানে কারসাজি শুরু হয় দেড় থেকে দুই বছর আগে, সেখানে বিএসইসি কিনা সোয়া মাসের মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা তদন্ত করতে বলেছে। by
গত দুই বছরে কোম্পানিটির ২৩ টাকার শেয়ারের দাম বেড়ে ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। একটি গোষ্ঠী নামমাত্র বিনিয়োগের বিপরীতে আইন লঙ্ঘন করে সীমার অতিরিক্ত মার্জিন ঋণ নিয়ে কোম্পানিটির বিপুল শেয়ার কেনে। এরপর দাম বাড়াতে নানা ধরনের কারসাজির আশ্রয় নেয়। পরে বন্ধ কোম্পানিটির পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত হয় তারা।
এদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন কচ্ছপগতির সিদ্ধান্ত, সব বিনিয়োগকারীদের বিপপাকে ফেলতে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে।