দেশের পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের সঙ্গে লেনদেন খরা প্রকট হয়েছে। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচকও কমেছে। একই সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেন কমে দুইশো কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে। এর মাধ্যমে চলতি বছরের ২৮ মার্চের পর বা প্রায় গত আট মাসের মধ্যে একদিনে সর্বনিম্ন লেনদেন হলো পুঁজিবাজারে। পাশাপাশি চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবসেই হলো দরপতন।
এদিন লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকায় লেনদেনের ৪০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৫ পয়েন্ট। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। এতে লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
তবে দুপুর ১২টার পর থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমতে থাকে। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে দরপতনের মাত্রা। এতে একদিকে দাম কমার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে সবকটি মূল্যসূচক কমে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
ক্রেতা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে অনেক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। বর্তমানে লেনদেনের চিত্র বিনিয়োগকারীদের হতাশাকে আরও বাড়িয়ে দিল।