জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের বিরোধপূর্ণ অবস্থানকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে অস্থিরতা বেড়েছে। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর নতুন করে শুরু হয়েছে সহিংসতা। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ব্যবসায়। সার্বিকভাবে পুঁজিজারের অবস্থাও খারাপ।
এই বাস্তবতায় দেশের পুঁজিবাজার নিয়ে বিশেষভাবে মনোযোগী হতে হবে নীতিনির্ধারকদের। কীভাবে এই দীর্ঘ মন্দা অতিক্রম করে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারে সে দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। নির্বাচন ছাড়াও অনেক বছর ধরে আমাদের পুঁজিবাজার অস্থির। ইতোমধ্যে অনেক আশাবাদ আর প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। যে কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। এই হতাশা কাটিয়ে ওঠা দরকার। কারণ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাই হচ্ছেন পুঁজিবাজারের প্রাণ। তাদের কথা সবার আগে চিন্তা করতে হবে।
গত এক-দেড় দশক ধরেই পুঁজিবাজারে থেমে থেমে সংকট চলছে। এই সংকট কাটিয়ে উঠা দরকার। পৃথিবীর অন্যকোনো দেশে এভাবে পুঁজিবাজার সংকটে নেই। তাই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক তারা পারলে আমরা পারবো না কেনো? আমাদের ব্যর্থতাগুলো বিবেচনায় নিয়ে, নতুন করে দেশের অর্থনীতির স্বার্থে সবকিছু সঠিকভাবে করা প্রয়োজন।