পুঁজিবাজারে হঠাৎ করেই স্বল্প মূলধনি ও লোকসানি কোম্পানির শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিক কোনো কারণ পাওয়া যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে কারসাজির মাধ্যমেই মূলত এ ধরনের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হচ্ছে। মন্দা বাজারে ইদানীং কারসাজিকারীরা স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোকে কারসাজির জন্য বেছে নিচ্ছেন। কারণ, অল্প কিছু শেয়ার কিনে এ ধরনের কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যায়। আর এ সুযোগটিই কারো কারো জন্য আর্শিবাদ হিসেবে দেখা দেয়। আর সর্বনাশ হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। তারা কোনোভাবেই রেহাই পাচ্ছেন না।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বাজারে গত সপ্তাহে মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির তালিকায় দেশবন্ধু পলিমার ও লিবরা ইনফিউশন ছাড়া আরও ছিল এমবি ফার্মা, রেনউইক যোগেশ্বর, শ্যামপুর সুগার। এসব কোম্পানির মধ্যে এমবি ফার্মার শেয়ারের দাম গত সপ্তাহে ১৫ শতাংশ, রেনউইক যোগেশ্বরের ১৪ শতাংশ ও শ্যামপুর সুগারের শেয়ারের দাম ১২ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দেশবন্ধুর মূলধন ৬১ কোটি টাকা।
আর লিবরা ইনফিউশনের দেড় কোটি, এমবি ফার্মার প্রায় আড়াই কোটি, রেনউইক যোগেশ্বরের দুই কোটি ও শ্যামপুর সুগারের মূলধন পাঁচ কোটি টাকা।
অনেকে ধারণা করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে কিছু নিম্নমানের কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজির ঘটনা ঘটলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ও ডিএসইর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ব্যবস্থায় গ্রহণ করা হচ্ছে না।
ফলে কারসাজিকারকেরা কারসাজির মাধ্যমে এসব কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটাচ্ছে। যখন অপরাধের কোনো শাস্তি হয় না, তখন অপরাধীরা উৎসাহিত হয়। এটিই ঘটছে এখন পুঁজিবাজারে। মন্দা বাজারেও কারসাজিকারকেরা তাদের মুনাফা তুলে নিচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাধারণ বিনিয়োগকারীরাই তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এমনটিই হচ্ছে বর্তমান পুঁজিবাজারে।