ভালো পণ্যের ভালো দাম, এই নিয়ম খাটে না দেশের পুঁজিবাজারে। মৌলভিত্তির দিক বিবেচনায় এই বাজারে ভালো শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগে তেমন আগ্রহ নেই বিনিয়োগকারীদের। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো ফার্মা, স্কয়ার ফার্মার শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে পড়ে থাকলেও যেন কেউ কিনতে চাইছে না। সবার ঝোঁক এখন অপেক্ষাকৃত খারাপ শেয়ারের দিকে। শুধু তাই নয়, এখনও হুজুগের বা গুজবের লেনদেন থেকে বের হতে পারছে না দেশের এই শেয়ার বাজার। এতে করে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নানামুখী নেওয়া উদ্যোগেরও সুফল মিলছে না।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহে কমেছে ৩০ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৩২ শতাংশ। আগের সপ্তাহেও এই সূচকটি কমেছিল ৫৩ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা দুই দশমিক ২৭ শতাংশ।
তালিকাভুক্ত দুই-তৃতীয়াংশ কোম্পানির শেয়ার এখন ফ্লোর প্রাইসে নেমেছে। দর হারানোর ভয় না থাকার পরও এসব শেয়ারে বিনিয়োগে আগ্রহ নেই কারও। ফলে নির্দিষ্ট দিনে ফ্লোর প্রাইসে থাকা এসব শেয়ারের কেনাবেচাও মোট লেনদেনের ৩ থেকে ৮ শতাংশে ওঠানামা করেছে। ফ্লোর প্রাইসের ফাঁদে আটকা পড়া কোম্পানির মধ্যে রয়েছে গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংকসহ স্বনামধন্য বেশ কিছু কোম্পানি। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার দিনই দেশের শেয়ার বাজারে দরপতন হয়েছে। এর ফলে সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে এক সপ্তাহেই প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন চার হাজার কোটি টাকা কমে গেছে।