পুঁজিবাজার নিয়ে আবারও হতাশা ভর করেছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মনে। কয়েক দিনের টানা দরপতন ও লেনদেনের খরা এ হতাশা তৈরি করেছে। এ কারণে বাজারে এখন তীব্র ক্রেতাসংকট দেখা দিয়েছে।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ৫০০ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীরা এখন বাজারে নিষ্ক্রিয়। হাতে টাকা থাকলেও বাজারে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না তারা। এতে ধারাবাহিকভাবে লেনদেন কমতে কমতে তলানিতে এসে ঠেকেছে। লেনদেন কমে যাওয়ায় আতঙ্কের পাশাপাশি হতাশা ভর করেছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে, যার প্রভাব শেয়ারের দাম ও লেনদেনে পড়েছে। এতে কিছু কিছু কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতাসংকট দেখা দিয়েছে। দিনের সর্বনিম্ন দামেও কিছু কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতা মিলছে না। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করতে চেয়েও বিক্রি করতে পারছেন না।
পুঁজিবাজারের এই অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার পেছনে দৃশ্যমান বড় ধরনের কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কারা কীভাবে বাজার প্রভাবিত করছেন, সেটি বুঝাও কঠিন হয়ে উঠেছে। এটি পুঁজিবাজারের জন্য অশনি সংকেত। তাই দ্রুত এর অবসান হওয়া দরকার।