দেশের পুঁজিবাজারে হুটহাট করে সূচক শত পয়েন্ট বেড়ে যাওয়া আবার কোনো কারণ ছাড়াই শত পয়েন্ট কমে যাওয়া যেন একটি রোগে পরিণত হয়েছে। এই রোগ সারাতে না পারলে পুঁজিবাজারে স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে না। আর বাজার যত অস্বাভাবিক থাকবে আস্থা ততই কমবে এবং গুজবি নির্ভরতা বাড়তে থাকবে। এই ধরনের চিত্র কিন্তু আমাদের পুঁজিবাজারে বিরল নয়। এখনও সময় ফুরিয়ে যায়নি, তবে কালক্ষেপণ হচ্ছে এটিও সত্য কথা। তাই দ্রুতই পুঁজিবাজারের অস্বাভাবিকতা দূর করা প্রয়োজন। আর এর জন্য পুঁজিবাজারে আড়ালে থেকে কারা কলকাঠি নাড়ছে, তাদের চিহ্নিত করা দরকার। কারণ এটি ভালো লক্ষণ নয়।
আড়ালের শক্তিকে মোকাবেলা করাটা খুবই কঠিন ও জটিল। যাকে দেখা যায় না, তার সঙ্গে লড়াই তো কঠিনই হবে। দেশের পুঁজিবাজারে এমনটিই হচ্ছে বলে আমাদের ধারণা। যে কারণে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন যতই ভালো সিদ্ধান্ত নিক, আড়ালের শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে সবকিছু ভণ্ডুল করে দেয়। তাই আড়ালের শক্তিকে আগে নিমূর্ল করতে হবে। তা হলেই কেবল বাজার থেকে অস্বাভাবিকতা দূর হতে পারে।