দেশের পুঁজিবাজারের সামগ্রিকভাবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউপিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। অন্যদিকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আরও একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সংস্থাদুটির বিভিন্ন সিদ্ধান্ত অনেক সময় ‘এক বনে দুই বাঘ’-এর মতো মনে হয়। একটি যদি বলে বামে চলো, অন্যটি বলে ডানে। আর এর ক্ষতির দায় বয়ে বেড়াতে হয় বিনিয়োগকারীদের।
সম্প্রতি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ‘পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ’ হিসাব তিন দিন আগে নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অন্যদিকে শেয়ারবাজারে নতুন চালু করা এসএমই বোর্ডে লেনদেন বৃদ্ধির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের বাধ্যতাবাধকতায় বিশেষ ছাড় দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এমন পরিস্থিতিতে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা কমে গেছে।
এসএমই বোর্ডে লেনদেন করতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বাজারে ন্যূনতম ৫০ লাখ টাকার বিনিয়োগ থাকতে হতো। এখন সেই পরিমাণ কমিয়ে ২০ লাখ টাকা করা হয়েছে। ফলে এসএমই বোর্ডে লেনদেনযোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত প্রতিষ্ঠানকে কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা এনবিএফআই ঋণ দিলে এখন থেকে তা সেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ‘পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ’ হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া পুঁজিবাজারের সঙ্গে যুক্ত কোনও সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিলে তা-ও ওই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হিসেবে ধরা হবে। এ কারণে পুঁজিবাজারে মূলধন হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। বাজার মূলধন কমছে। ফলে একই পুঁজিবাজারের দুই সংস্থার সমন্বয়হীনতা আর কতদিন?