গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রাণ হচ্ছে জবাবদিহিতা। যে ব্যবস্থায় জবাবদিহিতা যত বেশি সে ব্যবস্থা ততটাই প্রাণবন্ত। এটি বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত একটি বিষয়। কারণ জবাবদিহিতা না থাকলে কোনোকিছু সঠিকভাবে চলতে পারে না। আমাদের দেশের পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পুঁজিবাজার একটি সমন্বিত ব্যবস্থাপনা। এখানে কোনো একটি জায়গায় দুবর্লতা থাকলে এর প্রভাব পড়বে সর্বত্র। এ কারণে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সবগুলো প্রতিষ্ঠানের কাজে সমন্বয়, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা অনিবার্য বিষয়। এখানে কাউকেই কোনো অংশে কম গুরুত্ব বা ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। প্রত্যেকের মধ্যে কাজের সমন্বয় থাকা খুবই দরকার। না হলে এর নেতিবাচক রূপ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।
পুঁজিবাজারে বহুপক্ষীয় সিদ্ধান্ত দরকার হয়। একটি প্রতিষ্ঠান থেকে যদি ত্রুটিপূর্ণ কিছু হয়ে আসে, তা হলে এর জের টানতে হবে গোটা পুঁজিবাজারকে। এখানে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী, শত শত কোম্পানি ও দেশের অর্থনীতির বিষয় জড়িত। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা পুঁজিবাজারকে একটি স্পর্শকাতর ক্ষেত্র মনে করেন। এটি কেবল কাগুজে বুলি নয়, শতসিদ্ধ একটি বিষয়। এ কারণে সব পক্ষই যেনো এর গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।