কথায় আছে- ‘তোলা দুধে পোলা বাঁচে না।’ দেশের পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রেও কথাটি খাটে। জোরাতালি বা ভর্তুকি দিয়ে পুঁজিবাজার বাঁচিয়ে রাখা যাবে না। নিজস্ব উৎস থেকে পাওয়া ফুয়েলেই পুঁজিবাজারকে চলতে হবে। এর জন্য পুঁজিবাজারে দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। সুশাসন জারি রেখে বাজারের সব ধরনের অনিয়ম, অব্যবস্থপনা রোধ করতে পারলে বাজারে এমনিতেই গতি ফিরবে।
সরকারের নেওয়া অনেক ভালো উদ্যোগও ব্যর্থ হচ্ছে পুঁজিবাজারে সুশাসনের অভাবে। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে এক শ্রেণির দুর্বৃত্ত পুঁজিবাজারকে নানা সময় কুক্ষিগত করে রাখে। এ কারণে সরকারের ওপর দায় পড়ে। কিন্তু কেনো? পুঁজিবাজারতো চালাবাবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। সরকারতো এখানে সরাসরি যুক্ত নয়। তাহলে কিছু হলেই সরকারের দোষ দেয়াটা কতটা যুক্তিযুক্ত? তবে হ্যাঁ, সঠিক স্থানে সঠিক লোক বসানোর ক্ষেত্রে যদি গাফিলতি থাকে তাহলে সরকার এ দায় এড়াতে পারে না। আবার সৎ ও যোগ্য লোকবল নিয়োগে সরকারের সাফল্য থাকলে সেটিও বিবেচনায় নেওয়া উচিত। তাই পুঁজিবাজারে দরপতন হলেই সরকারের ওপর দায় চাপানোর সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসা দরকার। এতে পুঁজিবাজারের স্বাধীন সত্তা বিকশিত হবে। বাজার সয়ংসম্পূর্ণ হবে। আপন গতিতেই চলতে পারবে।