দেশের পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় স্টক এক্সচেঞ্জের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। বিশেষ করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনেই বন্ধ থাকা কোম্পানির শেয়ারে কারসাজি হচ্ছে। পৃথিবীর সব দেশেই শেয়ারবাজারে কারসাজির বিরুদ্ধে স্টকএক্সচেঞ্জ সবার আগে ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু ডিএসইর ব্রোকাররা কারসাজি করলে স্টক এক্সচেঞ্জ নিরব। এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
পুঁজিবাজার নিয়ে এক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব মন্তব্য করেন। ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) যৌথভাবে ওই ওয়েবিনারের আয়োজন করে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানা যায়।
আমরা বলতে চাই এ ধরনের ঘটনা তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয় উচিত। কারণ কারা এসব কোম্পানির শেয়ার কিনে এবং কারা বিক্রি করে- তা স্টক এক্সচেঞ্জ জানে। এরপরও ব্যবস্থা নিতে আপত্তি কোথায়? কোথায় কারসাজি চক্রের খুঁটির জোর? এ ধরনের পরিস্থিতিতে হঠাৎ বাজার পড়ে গিয়ে কোনো কিছু হলেই রাস্তায় লোকজন নেমে সরকারকে দোষারোপ করে। এটি কোনো সমাধান হতে পারে না।
আমরা দেখছি বর্তমান পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বেশ কয়েকটি বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই কারসাজি প্রতিরোধেও ওই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এতে পুঁজিবাজার জঞ্জালমুক্ত হবে বলে আমরা আশা করি।