পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪২ কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ (পরিশোধিত মূলধনের) শেয়ার ধারণের জন্য আগামী ৬০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হলো, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে- বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়। বর্তমান পুঁজিবাজারের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ খুবই সময়োচিত।
২০১১ সালের ২২ ডিসেম্বর পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করে তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রত্যেক পরিচালককে ন্যূনতম ২ শতাংশ ও সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক করে নির্দেশনা দেয়া হয় বিএসইসি থেকে। কিন্তু অনেক পরিচালক এবং কোম্পানি এই নির্দেশ উপেক্ষা করে আসছে। এটি পুঁজিবাজারে জন্য খুবই ক্ষতিকর। এসব কোম্পানি এবং পরিচালকরা পুঁজিবাজারের স্বার্থের পরিপন্থি কাজ করছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে আরও আগেই ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল। বর্তমান কমিশন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সঠিক কাজ করেছে বলে আমরা মনে করি। ওইসব পরিচাল হয়তো মনে করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে কিছুই করা যাবে না। তাই শেয়ার ধারণের বিষয়ে অতীতে আমরা বহুবার লিখলেও তারা সেটি আমলে নেননি। এই ধরনের ঐদ্ধত্য দেশের পুঁজিবাজারের জন্য ক্ষতিকর।