৩০ শতাংশ ধারণ সম্পন্ন করেছে তালিকাভুক্ত ১৫ কোম্পানি

এসএমজে ডেস্ক:

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা মোতাবেক উদ্যোক্তা পরিচালকদের সম্মিলিত শেয়ার ৩০ শতাংশ ধারণ সম্পন্ন করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৫ কোম্পানি।

জানা যায়, ৩০ শতাংশ ধারণের সময় সীমা শেষ হলে ১৫ কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ সম্পন্ন করেছে। বাকী কোম্পানিগুরো ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হওয়ায় বোর্ড পুনর্গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। পূর্বে যে ১৭ জন উদ্যোক্তা পরিচালকরা ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে তাদেরকে পদচ্যুত করা হয়েছে।

৩০ শতাংশ ধারণ করা কোম্পানিগুলো হলো:- বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা, বারাকা পাওয়ার, বে-লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, বিডি থাই,বিজিআইসি,সিটি ব্যাংক, এমারেল্ড অয়েল,ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মেট্রো স্পিনিং,নর্দার্ণ ইসলামী ইন্স্যুরেন্স,পিপলস ইন্স্যুরেন্স,সাউথইস্ট ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক লিমিটেড।

৩০ শতাংশ শেয়ার ধারনে ব্যার্থ কোম্পানিগুলো হলো:- একটিভ ফাইন কেমিক্যাল, আফতাব অটোমোবাইলস, অগ্নি সিস্টেমস, আলহাজ্ব টেক্সটাইল, এপেক্স ফুটওয়্যার, এ্যাপোলো ইস্পাত,সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস,ডেল্টা স্পিনার্স, ফ্যামিলিটেক্স, ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ফাইন ফুডস, ফু-ওয়াং সিরামিক, ফু-ওয়াং ফুডস, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস, ইমাম বাটন, ইনটেক, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডাইং, নর্দার্ণ জুট ম্যানুফ্যাকচারিং, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ফার্মা এইডস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, সালভো কেমিক্যাল, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, তাল্লু স্পিনিং, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, এবং কে অ্যান্ড কিউ।

জানা যায়, নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার সময়ে ৪১টি কোম্পানির ৩০ শতাংশ শেয়ার ছিল না। সর্বশেষ ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫টি কোম্পানি ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করে বিএসইসিতে চিঠি দিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৯-১০ সালে শেয়ার কারসাজির পর ভয়াবহ দরপতনের প্রেক্ষাপটে ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকদের এককভাবে কমপক্ষে ২ শতাংশ শেয়ার থাকার বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছিল বিএসইসি।এ ছাড়া কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার থাকার শর্ত দেয়। গত আট বছরে অনেক পরিচালক ও কোম্পানি এ শর্ত লঙ্ঘন করেছে। উদ্দেশ্য ছিল, কোম্পানি পরিচালনায় জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে যথাযথ প্রতিনিধিত্বশীল পর্ষদ গঠন করা।

এ নির্দেশনার বিপক্ষে ওই বছরই ৪ কোম্পানির ১৪ জন পরিচালক আদালতে রিট করেন। তবে আদালত  পরিচালকদের রিট খারিজ করে বিএসইসির সিদ্ধান্ত বহাল রাখে।সূত্র:বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)।

এসএমজে/২৪/মি

Tagged