২৩২ কোটি টাকার দায়ভার কে নেবে

এম এইচ রনি:

ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে আটকে রয়েছে বিনিয়োগকারীদের ২৩১ কোটি ৮৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৬ টাকা। আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, উৎপাদন বন্ধ ও নিয়মিত লোকসানের কারণে দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে ওটিসিতে পড়ে রয়েছে ৬৫ কোম্পানি। তাতে কোম্পানি পরিচালকেরা পার পেয়ে গেলেও পুঁজি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।  তারা কোনো দিন কি ফিরে পাবেন এ টাকা? নয়তো এসব টাকার দায়ভার কে নেবে? এমন প্রশ্ন তুলেন সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীরা।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ওভার দ্য কাউন্টার) বিধিমালা, ২০০১ অনুযায়ী সেপ্টেম্বর ০৬, ২০০৯ তারিখে এসইসি’র আদেশ নং এসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০১১-১৬ অনুসারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লি: কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের জন্য ওভার দ্য কাউন্টার সুযোগ প্রদান করে। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত এ মার্কেটে অবস্থান করছে ৬৫ কোম্পানি। এসব কোম্পানির মধ্যে শুধুমাত্র বিনিয়োগকারীদেরই রয়েছে ১৪ কোটি ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫০টি শেয়ার।  অন্যদিকে আইনের ফাঁকফোকর আর নানা অজুহাতে পার পেয়ে যাচ্ছে কোম্পানিগুলো। বছরের পর বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরে পুঁজি না পেয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন  বিনিয়োগকারীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব কোম্পানির মধ্যে কোনো কোনো কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল শুধু টাকা উত্তোলনের জন্যই। তালিকাভুক্তির আগের কয়েক বছর অধিক ব্যবসায়িক সাফল্য দেখানো হয়। যাতে সহজে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া যায়। প্রথম দুই-তিন বছর কোনো রকম ডিভিডেন্ড দিয়ে সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলে এসব কোম্পানি। তারপর থেকে শুরু হয় অনিয়ম।

সংশ্লিষ্টদেও মতে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি সঠিক উদ্যোগ গ্রহণ করতো তা হলে আজ এ পরিস্থিতি  হতো না। কোম্পানির পরিচালকরা অনিয়ম করার সাহসও পেতো না। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষে নেয়ার জোর দাব জানান সংশ্লিষ্টরা। (চলবে)

Tagged