১০ হাজার কোটি টাকা তহবিল: সুশাসনও জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল চেয়ে ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো চিঠি দিয়েছে। এ তহবিল পেলে বাজারে কিছুটা উন্নয়নের প্রভাব পড়লেও এক্ষেত্রে অনিয়ম বন্ধ এবং সুশানও জরুরি বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, গত ৪ ডিসেম্বর প্রাতিষ্ঠানিক ব্রোকারদের (ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত তহবিলের একটি রূপরেখা অর্থমন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। এ ইস্যুটিকে আরও পরিষ্কার করতে গত সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সাথে বৈঠকে বসেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন। এ বৈঠকে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংশ্লিষ্ট ইস্যু নিয়ে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে ইস্টার্ন ব্যাংক সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাইদুর রহমান এসএমজে২৪ ডটকমকে বলেন, প্রস্তাবটি ইতিবাচক বলে মনে করি। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে বিষয়টি প্রক্রিয়াধিন। প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজার গতিশীল হবে। একই প্রসঙ্গে ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, পুঁজিবাজারের স্বার্থে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। বিষয়টি সরকার পজেটিভলি দেখবে বলে আমরা আশাবাদী। এখন প্রস্তাবটি প্রক্রিয়াধিন থাকলেও তা নিয়ে সরকার খুব দ্রুত কাজ করছে বলে আমরা জেনেছি। তিনি আরো বলেন, ফান্ডটি বাস্তবায়ন হলেই হবে না, এ তহবিলের পাশাপাশি আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে সুশাসনেরও প্রয়োজন আছে। এ সেক্টরে যেসব অনিয়ম হচ্ছে তা চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরবে বলে আমি মনে করি।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, পুঁজিবাজারের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল বাস্তবায়ন হলেই হবে না, তার পাশাপাশি পুঁজিবাজারের সঠিক নিয়ন্ত্রনেরও প্রয়োজন রয়েছে। দিনের পর দিন বেড়েই চলছে এ সেক্টরে অনিয়ম। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে সব জায়গাইয় চলছে অনিয়ম। এ অনিয়ম রোধে সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন। আইনি সুশাসন প্রতিষ্ঠা না করলে এ সেক্টরের উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয় বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

প্রস্তাবনায় উল্লেখ রয়েছে, প্রস্তাবিত তহবিলের আকার ১০ হাজার কোটি টাকা। তহবিলের মেয়াদ হবে ৬ বছর। প্রস্তাবিত সুদের হার ৩ শতাংশ। প্রথম বছর কোন সুদ দিতে হবে না। দ্বিতীয় বছর সুদ দিতে হবে। এরপর ৩য় বছর থেকে সুদসহ মূল টাকা ৬ মাস পর পর ফেরত দিতে হবে। আর শুধু সেকেন্ডারি বাজারে বিনিয়োগের জন্য এই তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা দেয়া হবে। আর এই সুবিধা ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ সব মধ্যবর্তী প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এসএমজে/২৪/এম এইচ

Tagged